উত্তাল সারাদেশ গণপরিবহন বন্ধে চরম ভোগান্তি
মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
গতরাত হতে জ্বালানি তেলের বৃদ্ধিতে উত্তাল সারাদেশ।আজ দিনেও দেখা যায় জনমনে এর তীব্র সংকট ক্ষোভ প্রকাশ। ঘোষণাবিহীন ধর্মঘটে ফুসে উঠেছে সকলেই। পরিবহন মালিকরা গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন ভাড়া নির্ধারণের আগ পর্যন্ত। তেলের দাম বিশ্ববাজারের বৃদ্ধি পাওয়ায় সেইসঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দামে প্রজ্ঞাপন জারি করে,সেইসাথে নতুন দরে মূল্য নির্ধারন করে বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেট্রল ৮৬ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেন লিটারে ৮৯ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় ঘোষণাবিহীন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুরদুরান্তের যাত্রীসহ রাস্তায় বের হওয়া জনসাধারণ। তারা জানে না যে আজ ধর্মঘট বা কেনই বা এই ধর্মঘট আর হলেই আগে থেকে কেনই বা ঘোষণা দেওয়া হয়নি বা জানানো হয়নি। যুক্তিক প্রশ্নে বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যয়ে করেও চলাচলে বিঘ্নতা।
আর ১০০ টাকার ভাড়া ২০০/৩০০ টাকা দিয়েও গাড়ি মিলছে না।চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক-শ্রমিকের নয়টি সংগঠনের সম্মেলিত যৌথ নেতা-কর্মীদের সক্রিয় একত্ততায়
৯ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাক দিয়েছে।
চট্টগ্রামে যে ১১টি জেলা রয়েছে কোথাও কোন ডিজেল গাড়ি আসা যাওয়া করছে না। শাহআমানত নতুন ব্রীজ হতে দক্ষিন চট্টগ্রামে ৬টি উপজেলাও৷ কোন গাড়ি ছেড়ে যায় নি।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাথে চট্টগ্রাম নগরীর যেগযোগ বিছিন্ন আছে। ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জরিমানা,পুলিশ হয়রানি,
পন্যপরিবহনে,লাইসেন্স,হয়রানি বন্ধ,হাইওয়ে পুলিশের রিকিউজেশনের নামে গাড়ি জব্দসহ ৯দফা দাবিতে
চট্টগ্রামের পরিবহন মালিক-শ্রমিকের নয়টি সংগঠনের সম্মেলিত যৌথ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এ ধর্মঘট।
৯ দফা দাবিতে সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য এর গতিবিধি কোথায় গিয়ে দাড়ায় তা বোঝা যাচ্ছে না।যারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা কিন্তু মাঠে সক্রিয়তা নেই।কিন্তু মাঠে না নামলে গাড়ি না থাকার কারণে জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গাড়ি না থাকার কারণে সকাল থেকেই কোন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না কর্তৃপক্ষের যেন এই বিষয়টি তাদের নজরে আসে
নতুন দাম নির্ধারণে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম মহানগরে যানবাহনের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম পরিবহন মালিকদের একাংশ। শুক্রবার দিবাগত রাত তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়।
চট্টগ্রাম আন্ত জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, সরকার যেহেতু জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে, তাই তাঁরা দুই দিন দেখবেন। ভাড়া সমন্বয় করা না হলে তখন তাঁরা বিকল্প চিন্তা করবেন
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন-এভাবে দাম বৃদ্ধিতে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। আমরা গাড়ি চালানো বন্ধ রাখব।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু বলেন-জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে যাঁরা যানবাহন চালাতে চান তাঁরা চালাবেন। না চালালে আমাদের করার কিছুই নেই। তবে কোনো ধর্মঘট ডাকা হয়নি।