বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংকরোডে গাড়ির চা়ঁপায় ছাত্রী’র মর্মান্তিক মৃত্যু।
মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে মাঝামাঝি
সীতাকুণ্ড উপজেলা এলাকায় গাড়ির সংঘর্ষ ও চাঁপায় মোটরসাইকেল আরোহী পিতার সাথে সহযাত্রী সন্তান কলেজ ছাত্রী’র মর্মান্তিক লোমর্ষক অকাল মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।
আজ শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুর-১ঃ ৪৫ মিনিটে এ
ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে যা কিনা সাথে সাথেই সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়।
তথ্যসূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাতিহা জেহান জেবা (১৯)। তিনি সীতাকুণ্ড থানার কালু শাহ মাজার ফৌজদার বাড়ির মো.ফারুকের মেয়ে। এবং চট্টগ্রাম মহিলা কলেজের ইন্টার পরীক্ষার্থী ছিল।
মো.ফারুক নিহতের বাবা কালুশাহ নগর মানউল্ল্যাহ ফৌজদার বাড়ীর রহিম সওদাগরের দোকান সংলগ্ন তার বাসা বলে জানা যায়।উনারই একমাত্র মেয়েসহ বায়েজিদ লিংক রোডে মোটরসাইকেলে এক্সিডেন্ট করেছেন উনার সামনেই উনার একমাত্র মেয়ে ইন্তেকাল করেন।এবং মাথার মগজসহ বের হয়ে যায় ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,মোটর সাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিলেন ফাতিহা জেহান। এ সময় একটি লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ফাতিহা জেহান। এতে তার বাবাও কিছুটা আহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই গাড়িটি দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়। পরে তথ্য পাওয়া যায় কভারভ্যানের ধাক্কায় ঘটেছে বলে জানা যায়। বাবা সামনেই মেয়ের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে প্রায় দিশেহারা। তিনি তার প্রাণপ্রিয় সন্তানের মৃত্যু কোন মতোই মানতে পারছেন না।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভারীবস্তু বাবার কাঁদে সন্তানের লাশ যা কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না।সন্তানহারা বাবার বুকফাটা আর্তনাদের আহাজারিতে যেন আকাশ-বাতাস ভারী করে তোলে। কখনো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন,কখনো নিজ গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে চাইছে। কখনো নিজেই গাড়ির তলায় নিজের জীবন শেষ করে দেওয়াসহ বিষাদের তিক্ততা উপলব্ধি কত ভয়াবহ যার হারিয়েছে একমাত্র সেই বুঝে। তার ব্যাখ্যা কোনবাবেই সত্যি সত্যিই কোন ভাষা’ই বেঝানো সম্ভব নয়। এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সন্তানের শোকে তার স্ত্রীও মরে যাবে, স্ত্রীকে কি বুঝ দিবে? কি করবে না করবে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন বাবা।
অনুভূতি প্রকাশে পরিচিত বলে দাবি করে বলেন আমি সীতাকুণ্ড ৫নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্যর ছেলে তানভিরুল ইসলাম-ফেইসবুক কমান্ডে বলেন বাবার সামনেই একমাত্র মেয়ের মৃত্যু এর চাইতে মর্মান্তিক শোকের কি হতে পারে? প্রতিদিন ফারুক আংকেলকে দেখি বাইকে করে বাসার সামনে দিয়ে মেয়ে নিয়ে কলেজে যেতে,,, আর আজ সড়ক দুর্ঘটনায় লোমর্ষক এমন একটা বিপদ চলে আসবে কেউ কল্পনাও করতে পারছে না। লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে যা কিনা খুব খারাপ লাগছে। সে নিহত জেবার ফেইসবুক আইডিও আমকে দিয়েও কেন জানি আবার ডিলেট করে দিয়েছে? কল করলেও আর রিসিভ করে নাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়জিদ থানার এসআই রুপম চৌধুরী ও আকবর শাহ থানার এসআই টিটু প্রত্যক্ষদর্শীদের জরুরী তত্ত্বের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ সহ তিন থানার টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থল সীতাকুণ্ড থানা হাওয়াই বিষয়টি উক্ত থানার তদন্তে অভিযান,তথ্য ও অনুসন্ধান চলছে।
সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ পরিদর্শক অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন- এখনো গাড়ি বা ড্রাইভার কাউকে আটক বা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি সক্রিয় ভূমিকায় ও আইনি প্রকৃয়ায় সবরকমের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ আলামত ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌহিদ তিনি জানায়-নিহত জেবাকে নিয়ে তার বাবা কলেজে যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেল করে। জেবা একটি কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনার ঘাতক গাড়ি আটকের চেষ্টা চলছে।
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি,একটি সড়ক দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।রাস্তায় সাবধানে চলাচল করুন তাই নিজেও যে কোন পরিবহন যাত্রায় সাবধানে চলুন এবং অন্যকেও সাবধানে চলতে সতর্ক করুন। আল্লাহ শোকাহত পরিবারকে সবরে জামিল দান করুক।