কুড়িগ্রামে বানভাসিদের দুর্ভোগ
রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদ-নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ধীরগতিতে পানি কমায় দুর্ভোগ বেড়েই চলছে বানভাসিদের। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হয়ে পড়া ঘরবাড়ি এবং নৌকায় অবস্থান করা মানুষজন। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকটে পড়েছেন তারা। মিলছে না পশুর খাদ্যও। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও নদ-নদীর পানি সামান্য কিছুটা কমেছে। এতে ধীর গতিতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি।এদিকে বানভাসিদের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকই। সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের মোরশেদা বেগম বলেন, ঘরে-বাইরে পানি থাকায় পাঁচ দিন থেকে বাধ রাস্তায় প্লাস্টিকের তাবু টাঙ্গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি ঘরে খাবার নেই কয়েকদিন থেকে খুব কষ্টে দিন পার করছি। কোন সাহায্য সুবিধা পায়নি’ চিলমারী নয়ারহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আইনুল মিয়া বলেন, ‘বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। পাঁচগাছী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান রিলিপের ৪ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পেয়েছে একাধারে দিয়েছি অনেকে পাইনি চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ পেয়েছি জানা গেছে, সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও কিছু এলাকায় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধ্যমত বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ প্রতিবেদক কে বলেন,৯ উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৩৩৮ টন চাল, নগদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।