পশ্চিম কাজলশাহ এলাকায় কথিত এমপি, শিমুলের শিলং তীরের ব্যবসা রমরমা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিলেট নগরীর পশ্চিম কাজলশাহ এলাকায় কথিত এমপি, শিমুলের প্রকাশ্য দিবালোকে শিলং তীরের ব্যবসা জমজমাট।
কোন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে নগরীর পশ্চিম কাজলশাহ শিশু সদন রোড সংলগ্ন ব্রীজের পাশে শিমুল-এমপির মাদক-জুয়ার আসর। স্থানীয় ফাড়ি পুলিশের শেল্টারেই চলছে জমজমাট এ আসর। দৈনিক আসছে এ বোর্ডে লাখ লাখ টাকা। জুয়ার আসর পরিচালনা করছে জুয়াড়ি দোলন,তার ছেলে ও সেলিম।
মসজিদ-মাদ্রাসা,স্কুল ও কবরেস্থানের কাছেই শিমুল ও কথিত এমপির জোয়ার বোর্ড। ওসমানী মেডিকেল থেকে বাগবাড়ী-মদিনা মার্কেটে যাতায়াতের প্রধান সড়কের সামনে সকাল থেকে রাত অবধি চলে লাখ টাকার শিলং তীরের জোয়া নির্বিকার প্রশাসন।
পশ্চিম কাজলশাহ বাগবাড়ী রোড (বাজার সংলগ্ন) ব্রীজের পাশে ছোট্ট দোকানে শিমুল ও কথিত এমপির শীলং তীরে রমরমা ব্যবসার কারনে বাগবাড়ী,শিশু সদন রোডসহ আশপাশের রিকশাচালক থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের ছাত্ররা ক্রমশ আসক্ত হয়ে পড়ছে।
প্রশাসনের ঝামেলা কম হওয়ায় পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ দুর-দুরান্ত থেকে জুয়াড়ীরা জুয়া খেলতে এখানে আসে। এসব বোর্ডে জুয়াড়ীরা দিনে ও রাতের অন্ধকারে শিলংতীরের জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়েই চলছে।
এছাড়াও এলাকায় তীর শীলং জুয়ার বোর্ড মালিকের নিয়োগকৃত এজেন্ট দোলন বাবু ও তার ছেলে এবং সেলিম, মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ হোয়াটসঅ্যাপে এসব খেলায় টাকা বাজি ধরেন জুয়াড়িরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জুয়াড়ি জানান,এখানে প্রশাসনের ঝামেলা কম নিরাপদে খেলা যায়। বোর্ড মালিক শিমুল ও কথিত এমপি নামধারী নাকি সাংবাদিক, পুলিশসহ প্রশাসনকে মেনেজ করে শিলংয়ের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে নগরীর পশ্চিম কাজলশাহ শিশু সদন রোড সংলগ্ন ব্রীজের পাশে শিমুল-এমপির মাদক-জুয়ার আসর। স্থানীয় ফাড়ি পুলিশের শেল্টারেই চলছে জমজমাট এ আসর। দৈনিক আসছে এ বোর্ডে লাখ লাখ টাকা। জুয়ার আসর পরিচালনা করছে জুয়াড়ি দোলন,তার ছেলে ও সেলিম। মসজিদ-মাদ্রাসা ও কবরেস্থানের কাছেই এ বোর্ড চললেও নির্বিকার প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানান, বাগবাড়ী,নরশিংটিলা, কানিশাইল, মদিনা মার্কেট সহ বিভিন্ন স্থানের জুয়াড়ীরা এসে এখানে আড্ডা বসায়। অপরিচিত লোকজনের আনাগোনায় এলাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেয়। তাদের আস্ফালনে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ভীতিকর পরিস্থিতি। বেড়ে গেছে চুরি ছিনআই ও রাহাজানি।
এলাকায় রয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ফারুক্কিয়া, নূরিয়া জামে মসজিদ, আব্বাস আলী জামে মসজিদ, ও কবরস্থান। এসব জুয়াড়ীদের কারনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা ও ভাবমুর্তি নষ্ট হলেও ভয়ে মুখ খুলতে কেউই সাহস পান না । শিমুল কথিত এমপি জুয়াড়ী চক্রের সাথে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আসাধু কর্মকর্তাদের টু-পাইস এর সম্পর্ক। জুয়াড়ীরা এলাকার কাউকেই তোয়াক্কা করে না। এক শ্রেনির নামধারি সাংবাদিকরাও এ স্পট থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক বখরা নিয়ে থাকে। তাই প্রতিবাদীদের মধ্যে অপপ্রচারের ভীতিও কাজ করে।
এব্যাপারে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা পুর্বক অতিসত্বর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানান।