২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ- আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আগুন তো নেভেইনি, বরং আরও তীব্র হতে শুরু করেছে আগুনের লেলিহান শিখা।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টা ২৫ মিনিটে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এরপর একের পর এক কন্টেইনার বিস্ফোরণ ঘটে। রোববার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে আগুন জ্বলছিল। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ জনে। এর মধ্যে ৯ জন ফায়ার ফাইটার কর্মী রয়েছেন। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ শতাধিক মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের আশঙ্কা, লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ ৪শ’র বেশি দগ্ধ ও আহত। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহতদের লাশ শনাক্তে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় ইতোমধ্যে ১৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। যাদের আঙুলের ছাপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে।
নিহতদের মধ্যে শনাক্ত হওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন— মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, রবিউল আলম, তোফায়েল ইসলাম, ফারুক জমাদ্দার, আফজাল হোসেন, মো. সুমন, মো. ইব্রাহিম, হারুন উর রশিদ, মো. নয়ন, শাহাদাত হোসেন, শাকিল তরফদার, শাহাদাত উল্লাহ জমাদার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী মনিরুজ্জামান।.
কনটেইনার ডিপোর পাশে থাকা বেশ কয়েকটি কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এগুলোর ভেতর কাগজের কার্টনে বেশ কিছু মালামাল দেখা গেছে। এগুলো থেকে ধোঁয়া উঠছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে পুরো এলাকা।