নির্বাচন তবে শিশুদের। উৎসবমূখর ও ছিলো ঠিক তেমনই।
ময়মনসিংহ থেকে শিব্বির আহমদের একটি প্রতিবেদন।
আমরা সচারাচর নির্বাচন মানেই সংসদ, উপজেলা, ইউপি, সিটি কর্পোরেশন, এবং নানাবিধ নির্বাচন বুঝে থাকি ও গুরুত্বও দিয়ে থাকি তেমনই ।
কিন্তু একটা বিষয় খুব বেশী নজরে পড়েনা আমাদের স্কুলে শিশুদের নির্বাচন নিয়ে।
এই শিশুদের নির্বাচনটা একটু অন্যরকম। ওদের হবেনা পোষ্টার ফ্যাষ্টুন, হবে না কোন মাইকিং, হবে না কোন আপ্যায়ন। তবু তাদের নির্বাচনটি হয়েছে নিরেট, স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন এবং উৎসবমূখর।
কিভাবে সম্ভব এসব।
একটা বাক্য সুস্পষ্ট ভাবে শিক্ষিত সমাজ জানে —
“আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো।”
বাস্তবতাও তাই। এখানে মা আসলে বুঝানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান কে।
শিশুরা বাড়িতে শিক্ষা নিতে পারে আদব কায়দা নিয়ে বা শিক্ষা নিয়ে।
যদি শিশুর পরিবারটি শিক্ষিত না থাকে তবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষীকারা যা শিখাবে তাই শিশুরা গ্রহন করবে।
আর এর জন্য একটা পরিবেশ বিশেষ প্রয়োজন। আর শিশুদের শিক্ষার প্রাথমিক ধাপই হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেটা আপনার আমার সকলের বেলায় প্রযোজ্য। অনেক আগের বিষয় থেকে এখন একটু পরিবর্তন হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বর্তমান পরিবেশের সাথে মিল রেখে চলার জন্য।
প্রতিটি শিক্ষার্থী যা শিখবে তা সে আজীবন মনে রাখবে।
তাই শিক্ষক শিক্ষীকারা চেষ্টা করেন তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাই দিতে।
কেন হবে শিশুদের নির্বাচন। আর এটা কার নির্দেশনায় হবে বা হচ্ছে।
দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তরটা আগে বলতে হয়।
সরকারের নির্দেশেই এই নির্বাচন করা হয়।
কেন হবে – এই হবে শব্দের অনেক বিশ্লেষণ যদিও তথাপিও সমাধান তো থাকবেই।
শিশুদের মধ্যে ক্যাপ্টেনশীপ একটা বড় কারন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সৌহার্দপূর্ণ মনোভাব, একে আপরের প্রতি লেখা পড়ার একটা প্রতিযোগী তৈরী, খেলাধুলায় উৎসহ উদ্দীপনা নিয়ে অংশগ্রহন, নিয়মিত স্কুলে উপস্থিতি, আর আদব কায়দা তো কমন থাকছেই।
সব কিছু নিয়ে শিশুদের একটা আলাদা উৎসবমূখর আয়োজন তৈরী হয়।
আর এই সব গুলি উপাদানের পেছনে যারা শ্রম দিয়ে তৈরী করে নেয় তারা হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক।
তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় একটি শিশুই হয়ে আগামী দিনের উজ্জল ভবিষ্যৎ।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শিকারীকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনটিও ছিলো আজ ঠিক তেমনই। বেশ স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলে আরো জানতে পারি।
ওদের সৌহার্দ ও সৌজন্যতা আমরা এমনিতেই শিখিয়ে থাকি।
তবু সরকারী বিধি মোতাবেক একটা চর্চা রাখতেই হয়। এতে উপকৃত হয় শিশু ও তার মেধার ও। বাড়ির পরিবেশ ও নিয়মের মধ্যে নিয়ে আনে শিশুরা।
এতে চালাক চতুরতাও বৃদ্ধি পায় শিশুদের।
শিশুদের সন্তানের মতেই মনে করা উচিৎ তবেই তাদের প্রতি বাড়বে আগামী উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ার সফল স্বপ্ন।
শিকারীকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ যেনো প্রতিটি স্কুলেই তৈরী হয়। এই প্রত্যাশা থাকবে আগামী সব কটি স্কুলের জন্য।