উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ কাঁদছে নদীর পাড়ের মানুষ
রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বর্ষার আগেই ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীর পাড়ের হাজারো মানুষ। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে প্রচন্ড স্রোতে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করছে। ভাঙ্গন কবলিত লোকজন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর দুই কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে অব্যাহত ভাঙনে ইউনিয়নের মোল্লারহাট বাজারসহ পার্শ্ববতী কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি, পুরাতন পারিবারিক কবরস্থান গাছপালাসহ আবাদি জমি নদে গর্ভে বিলীন হচ্ছে।
এদিকে টানা কয়েকদিনের বর্ষণে ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামায় প্রচন্ড স্রোতে ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙনে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা, চিতুলিয়া, শেখ পালানু, পূর্ব দুর্গাপুর গ্রাম ও মোল্লারহাট কড্ডার মোড় এলাকার পার্শ্ববর্তী পাঁচটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি নদে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে নদে চলে গেছে ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট বাজারের অর্ধেকেরও বেশি অংশ। প্রতিদিনই ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে গাছপালাসহ ফসলি জমি। হুমকিতে পড়েছে আশ্রয়কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ভাঙ্গনের শিকার দক্ষিণ বালাডোবা গ্রামের সোনাউল্লা, আব্দুল্লা, ছলি মিয়া, নায়েব আলী সফি মিয়া, সাত্তার আলী, আব্দুল খালেক, হাসেম মৌলভী আব্দুল খালেক রাহেলা বেগম আমিনুল ইসলাম আব্দুর রশিদ আছিয়া বেগম ও আলম মিয়া জানান বসতভিটার ব্রহ্মপুত্র নদের মনে বিলীন হয়ে গেছে। থাকার স্থান না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন সহ নদীর কান্দে কোনরকমে ঠাঁই নিয়েছেন। অনেকের খাবার কষ্ট দেখা দিয়েছে। অনেকে দুই তিনবার করে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে পথের ফকির হয়েছে।
অনেকের বসতবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় মানুষের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে আছি। কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাননি।
বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া জানান, ‘ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনরোধেও ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোকে সাহায্য সুবিধা দেওয়ার সু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ভাঙ্গনরোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। কতটুকু কার্যকরী হবে তা বলা যাচ্ছে না। স্থায়ী ভাবে সমাধানের জন্য ব্লক ফেলানো জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন।