কুড়িগ্রামে কাউন আবাদ করে লাভের আশার মুখ দেখছে কৃষকরা
রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর বিস্তীর্ণ চর ও বালুচর সমুহে কাউনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বুক জুরে এ ফসলের ক্ষেত দেখে মন ভরিয়ে যায়। বর্তমানে চলছে চাষাবাদকৃত কাউন ক্ষেত পরিচর্যার কাজ। আশা করা যাচ্ছে ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাউনের কাটা মারাই শুরু হবে। এবারে ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় আশায় কৃষকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছে। সরেজমিনে১৬ মে সোমবার দুপুরে দেখা গেছে কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিযনের চরসিতাইঝাড়, চর কৃষ্ণপুর, পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা, নেওয়াবশ, সিতাইঝাড়, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চর, মুছার চর, ফকিরের চর, বতুয়াতলী, আকেল মামুদ, বালাডোবা ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের নামাজের চর, জাহাজের আলগা, কাজিয়ার চর, দইখাওয়ার চরসহ ধু-ধু করা বালুচর সমুহের কাউনের ক্ষেত দেখে যেনো চোখ জুরে যায়। কৃষক আব্দুল মালেক, হাবিবুর রহমান ও শমসের আলীর সাথে কথা হলে তারা জানান, অনাবাদী পতিত জমিতে এবার সবজির থেকে বিনা খরচে কাউন চাষ করে বাড়তি আয় হওয়ার আশা করছি। এসব অঞ্চলের অভাবী প্রান্তিক ও বর্গাচাষীদের মাঝে প্রয়োজনীয় কৃষি পরামর্শ, প্রণোদনা, উন্নত বীজ সরবারহ করতে করলে বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে সচেতন মহল মনে কারেন। এব্যপারে উলিপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান, বালু ও পরিত্যক্ত ভূমিতে কিভাবে ভাল ফসল উৎপাদন করা যাবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কাউন চাষের শুরুতে বিঘা প্রতি ৩ কেজি করে কাউন বীজ বপন করা হয়। প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ পর্যন্ত কাউন উৎপাদন হয়। চাষের ২০-২৫ দিনের মধ্যে বিঘা প্রতি ৮-১০ কেজি করে ইউরিয়া সার দিতে হয়। মণ প্রতি ৩/৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়ে থাকে। এছাড়াও সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে কাউনের চাল প্রয়োজনীয়। তাছাড়া সৈখিন পাখির সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়।