কক্সবাজার চাঞ্চল্যকর ডাকাতির আসামি আটক র্যাব-৭
মোহাম্মদ মাসুদ,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার সাহারবিল ইউনিয়নের মো: আকতার কামাল মিরাজের বাড়ীতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি (ওয়ারেন্টভুক্ত) মোঃ মিনহাজকে চকরিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম।
র্যাব সূত্রে জানায় গত ০৯মে আনুমানিক দুপুর ২ঃ২০ টায় আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারীতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন শিকদার পাড়া এলাকায় অবস্থানকালে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মিনহাজ (২৮)সাং-জেলার পাড়া, থানা- চকরিয়া,জেলা-কক্সবাজারকে আটক করতে সক্ষম হয়।
গত ০২ ফেব্রুয়ারী-২০ইং রাত আনুমানিক ০০ঃ৩০ ঘটিকায় ধৃত আসামী মোঃ মিনহাজ তার অপর সহযোগীদের নিয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার সাহারবিল ইউনিয়নে বসবাসকারী মোঃ আকতার কামাল মিরাজের বাড়ীর দরজার তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য পরিচয় দিয়ে দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকাসহ আনুমানিক ১৮,৮৩,৬০০/-টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতি করার সময় তারা আগ্নেয়াস্ত্র,চাকু এবং ধারালো ছুরি দিয়ে বাড়িতে থাকা লোকজনকে ভয়ভীতি দেখায়। ডাকাতি কার্যক্রমে বাধা দিলে ডাকাতদল মোঃ আকতার কামাল মিরাজসহ তার সাথে থাকা অন্যদের নির্দয়ভাবে মারধর করে। এঘটনায় গত ০২ফেব্রুয়ারী-২০ইং তারিখ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় ১৭জনকে আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা হয়।
উক্ত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় জানতে পারে যে, উপরে উল্লেখিত ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ মিনহাজ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন শিকদার পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামী মোঃ মিনহাজ আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত ডাকতির সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়,ধৃত আসামী মোঃ মিনহাজ তার এলাকার অত্যন্ত কুখ্যাত অপরাধী হিসেবে পরিচিত ছিল। উল্লেখ্য যে,সে উক্ত ডাকাতির ঘটনার পর থেকে নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে প্রায়ই তার বাসস্থান পরিবর্তন করে অবস্থান করত।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।