কুড়িগ্রাম কুরিয়ার সার্ভিসের
কার্টনে মিললো ফেন্সিডিল
মোঃ রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে অভিনব কায়দায় মাদক পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ। জেলার সকল কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। বড়ানো হয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দা নজরদারি। পুলিশ সুত্রে জানানযায়,কুড়িগ্রাম শহরের একটি কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে বুকিং দিতে আসা একটি কার্টন থেকে দেড়শ বোতল ফেন্সিডিলসহ ভারতীয় প্রসাধনী জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ। শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শহরের কলেজ মোড়ে এলাকায় অবস্থিত ‘সওদাগর এক্সপ্রেস লিমিটেড’ নামক কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস থেকে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।
সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের কুড়িগ্রাম অফিসের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সাদা পলিব্যাগে মোড়ানো একটি কার্টন নিয়ে এসে তা ঢাকায় পাঠানোর জন্য বুকিং করতে চান। কার্টনের ভেতর কী মালামাল আছে তা খুলে দেখতে চাইলে ওই ব্যক্তি কৌশলে ফোনে কথা বলতে বলতে নিমিশেই ‘উধাও’ হয়ে যায়। এতে আরো সন্দেহ বাড়ে। আর কার্টন মালিক ফেরত না আসায় আমরা বিপাকে পড়েযাই। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর রাতেই কার্টন খুলে ভেতরে ফেন্সিডিলসহ ভারতীয় প্রশাধনী সামগ্রী দেখতে পেয়ে প্রথমে হেড অফিসে অবহিত করি।পরে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মালামাল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। কার্টন নিয়ে আসা ব্যক্তিকে চিনতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোঃ শাহরিয়ার জানান, জব্দ মালামালের মধ্যে ছিল ১৪৯ বোতল ফেন্সিডিল, তিন শতাধিক খালি মোড়কসহ ৮৭ পিচ স্কিন সাইন নামে ভারতীয় প্রসাধনী এবং গোডরেজ বেবি সাবান তিন পিচ। তবে প্রশাধনীগুলো মূলত বিভ্রান্ত করার জন্য ফেন্সিডিলের বোতলের ওপর ঢেকে দেওয়া ছিল।উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকারও বেশি বলে জানানতিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে জড়িত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।’