শীর্ষ সন্ত্রাসী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২০বছর পর আটক-র্যাব-৭
মোহাম্মদ মাসুদ চট্টগ্রাম।
কক্সবাজার জেলার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আক্তার হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২০ বছর ধরে পলাতক আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ সলিম উল্লাহ’কে চট্টগ্রামের বাকলিয়া হতে আটক করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
১৩ এপ্রিল রাত-০৯ঃ৩৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সলিম উল্লাহ দুবাইয়া (৪০), সাং-আর্দশ গ্রাম, থানা- কক্সবাজার সদর,জেলা-কক্সবাজার’কে আটক করে।
২০০২ ইং সালে কক্সবাজার সদর থানাধীন লালপাড়া কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকায় রাত আনুমানিক ০৩ ঘটিকায় কতিপয় দুস্কৃতিকারী আক্তার উদ্দিনকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩১, তারিখ ২৯ জুন ২০০২ ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলাটি তদন্ত শেষে উক্ত হত্যা মামলায় আসামী সলিম উল্লাহসহ অপর ০৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত কক্সবাজার সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে গত ১৩ জানুয়ারী ২০২২ ইং ১ জন আসামীকে মুত্যুদন্ড এবং ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে প্রধান করে রায় ঘোাষনা করেন।
উক্ত ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে আসামী সলিম উল্লাহ দুবাইয়া গত ২০ বছর ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করে বসবাস করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হন। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সলিম উল্লাহ চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাজখালী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ রাত-০৯ঃ৩৫ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, সে আক্তার উদ্দিন হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।