কালিয়ায় টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে মেম্বার পিন্টুর বিরুদ্ধে।
কালিয়া ( নড়াইল) প্রতিনিধিঃ
সারা দেশে ১ কোটি দরিদ্র পরিবারে স্বল্পমূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রিতে টিসিবি পণ্য বিতরণ কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। রমজানে পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। তবে হতদরিদ্র ও নিন্ম আয়ের মানুষ স্বল্পমূল্যে পণ্য পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ১০ নং পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।কালিয়া উপজেলায় মোট টিসিবির কার্ড সংখ্যা ১৪ হাজারের কিছু বেশি।এবং পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭শত এর কিছু মানুষ টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্ড পেতে পারেন। দুই ধাপে তাদের পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তবে হতদরিদ্র বা নিন্ম আয়ের মানুষ টিসিবির পণ্য পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্ড নিয়ে ১০নং পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার শরীফ আফতাব উদ্দিন ( পিন্টুর) বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, যারা কার্ড পাওয়ার উপযোগী তাদের না দিয়ে মেম্বার তার পছন্দমতো লোকদের টিসিবির কার্ড দিচ্ছেন। কোনো পরিবারে ২- ৩ জন ও টিসিবির কার্ড পাচ্ছে বলে ও অভিযোগ উঠেছে।তারা আরও বলেন, তাহলে আমরা কোথায় যাব। আমাদের কে কার্ড দেবে? পহরডাঙ্গা ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পহরডাঙ্গা গ্রামের কবির হোসেন বলেন,আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার করোনা কালিন সহায়তার ২৫০০ টাকা আমি পেয়েছি কিন্তু টিসিবির কার্ড পেলামনা। আমার নাম কেটে দিছি। আমি নির্বাচনের সময় আমি মেম্বারকে ভোট দেয়নি সেজন্য আমাকে টিসিবির কার্ড দেয়নি মনে হয়। একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনিস সিকদার বলেন, করোনার ২৫০০ টাকা পাইছি কিন্তু টিসিবির কার্ড পাইনি।মেম্বারকে ভোট না দেয়ায় টিসিবির কার্ড থেকে আমি বঞ্চিত। তার আত্নীয় স্বজনদের নামে কার্ড করে দিচ্ছে। অপরদিকে করোনা কালিন সহায়তা না পেয়ে ও টিসিবির কার্ড পেয়েছে ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আক্কাস শেখের ছেলে মোঃ নিয়মত শেখ। এছাড়া ও কার্ডের তালিকা থেকে বাদ পড়েছ জুয়েল সিকদার,বিধবা হালি বেগম, বেগম,এয়াকুব শেখ সহ অসংখ্য হতদরিদ্র মানুষ টিসিবির কার্ড পাননি। এ ব্যাপারে ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শরীফ আফতাব উদ্দিন পিন্টু বলেন,আমার মেরুদণ্ডের অপারেশনের কারনে আমি কিছুদিন পরিষদে যাইনি। আমি সুস্থ হয়ে পরিষদে গেলে সচিব সাহেব আমাকে যে নামের কার্ড গুলো দেয়,সেই কার্ড কারেকশন করে আমি বিতরন।
এ বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব খন্দকার আজাহার বলেন,উপজেলার ইউএনও অফিস থেকে আমাদের একটা চিঠি আসে, সেই চিঠিতে তালিকা থেকে কিছু নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন।সেই মোতাবেক ইউনিয়নে ১২৩টি নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য বলা হয়।যেহেতু ১২৩ টি নাম বাদ দিতে সেই জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে মেম্বারদের ৮-১০ করে নাম বাদ দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান বলেন।৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পিন্টুকে ও ৮টি নাম বাদ দেয়ার জন্য বলা হয় তালিকা থেকে।এখানে মেম্বার বলতে পারবে কাকে কাকে কার্ড দিছে এবং কাকে বাদ দেছে।
এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, তালিকা থেকে কিছু নাম বাদ যাবে এবং অতিরিক্ত বরাদ্ধের ৩৪ কার্ড দেয়া হয়েছে কিছু নাম অন্তরভূক্ত হবে।যদি মেম্বাররা স্বজনপ্রীতি করে প্রকৃত যারা টিসিবির কার্ড পাবে তাদের না দিয়ে স্বজনপ্রীতি করে তাহলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।