নওগাঁর পত্নীতলায় কোর্টে মামলা চলাকালীন সময়ে জবর-দখল ও হত্যার হুমকি
নওগাঁ প্রতিনিধি-
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার চকদূর্গা রায়াম গ্রামে কাবিনমুলে জমি পাইবে বলে কবলাকৃত সম্পত্তি উপর জবর-দখল করছে বলে জানা যায়। এতে বাঁধা দিতে গেলে মালিককে হত্যা করে লাশ গায়েব করার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা।
প্রতিপক্ষরা হলো- আজাহার,রহিম(গুডু),ওয়াব(বাহাদুর)হিরা,মুন্না,বুলবুল,ময়জান,বিলকিস,ফেরদৌসী।
সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ খালেকুজ্জামান রেজিষ্ট্রি মুলে জমি ক্রয় করেন শফির উদ্দীন কাছ থেকে।
এরপর তিনি ভোগ দখল করতেন ও জায়গাটি ব্যবহার করতে থাকেন। এমতাবস্থায় গত ২০১২ সালে হঠাৎ করে স্ত্রী ময়জান বিবি, তার বিয়ের কাবিন নামায় নাকি তার স্বামী উক্ত জমির দাগ নং দিয়ে বিয়ে করেছিলেন। সেই কাবিন মুলে দাবী করে সন্ত্রাসী,মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে জোর পূর্বক সেখানে একটি প্রচীর সহ ঘর নির্মান করে,সে সময় তিনি বাঁধা দিতে গেলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। খালেকুজ্জামান উপায় অন্ত না পেয়ে নওগাঁ আদালতে একটি উচ্ছেদ মামলা করেন এবং কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রতিপক্ষরা সেখানেই চালা তুলে বসবাস শুরু করে। গত ১০/০৩/২২ ইং তারিখে আবারও প্রতিপক্ষরা বহুতল ভবন নির্মানের চেষ্টা করিলে, সেখানে জমির রেজিঃক্রয় সুত্রে মালিক খালেকুজ্জামান বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখিত প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করে লাশ গায়েব করার হুমকি দেয়। বৃদ্ধ মানুষ খালেকুজ্জামান কোন উপায় না পেয়ে তার ভাতিজা সাংবাদিক মিজানুর রহমান মানিক কে মোবাইল ফোনে জানালে সাংবাদিক মানিক ও তার বন্ধু সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিবকে সঙ্গে নিয়ে পত্নীতলা থানায় যান এবং খালেকুজ্জান একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওসি তদন্ত হাবিব এস আই রতনকে অভিযোগ তদন্তের দায়ীত্ব দেন। এস আই রতন একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে, বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। সেখানে সাংবাদিক উপস্থিত হলে, প্রতিপক্ষরা ছবি তুলতে দেবে না, সাংবাদিক আশে-পাশে থাকাই চলবে না এবং এগুলো বিষয়ে কোন পেপার-পত্রিকা করা যাবে না বলে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসময় এস আই রতন সাংবাদিকেরা যে ছবি ও ভিডিও করে ছিলো তাহা ডিলেট করলে তারা শান্ত হয় এবং সেখান থেকে সাংবাদিকদের যেতে দেয়।
এ বিষয় নিয়ে পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নিলে খালেকজ্জামান পরবর্তীতে তার ও তার পরিবারের কথা চিন্তা করে নিরাপত্তা জনিত কারণে নওগাঁ আদালতের আশ্রোয় নেন। খালেকুজ্জামান আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচার পাইবেন বলে আশা করছেন।