ইসমাইল ইমন, রিপোর্টার : সৌদিআরবের জেদ্দা শহরে অবস্থিত এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে সাবেক সৌদিআরব প্রবাসীর ১৪ বছর সংসার করা বিবাহিত স্ত্রীকে পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে সৌদিআরব থেকে মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে ।
লিখিত ও ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগী আহসান হাবীব অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ সাড়ে তের বছর সৌদিআরবে প্রবাস জীবন চলা অবস্থায় একই এলাকার লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার মো: আব্দুর রবের কন্যা মোসাম্মৎ ফাতেহা আক্তার (৩৬)এর সাথে পারিবারিক ভাবে ১জুলাই ২০০২ ইং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
আহসান হাবীব ও মোসাম্মৎ ফাতেহার বিবাহিত জীবন দিনকাল খুবই সুন্দর কাটছিল,তাদের ১৮ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে, এমন সাজানো সংসারে নেমে আসে সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহমান বাহার (৩৯)
এর কুদৃষ্টি,বিভিন্ন লোভ আর প্রলোভন দিয়ে গোপনে মোসাম্মৎ ফাতেহার সাথে গড়ে তোলেন মোবাইলে পরকীয়ার সম্পর্ক ।
অভিযোগে জানা যায়, সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুর রহমান বাহার (৩৯) লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কামাল হাট পোষ্ট অফিসের মৃত মুজিব উল্লাহ মাষ্টারের সন্তান ।
সৌদিআরব কাছাকাছি চাকুরী এবং একই থানার হওয়াতে গড়ে ওঠে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক,আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে আব্দুর রহমান বাহার, বন্ধুর সুন্দরী স্ত্রীকে নানারকম লোভ আর প্রলোভন দেখিয়ে গড়ে তোলেন অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক, আহসান হাবীব অভিযোগে আরো বলেন আমার কষ্টার্জিত নগদ অর্থ এবং স্বর্ণ অলংকারসহ মোট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে, সামাজিক ভাবে আমি অনেক হেয়প্রতিপন্ন হয়েছি, আমার ১৮ বছরের সন্তান বলেছে তার মাকে তার কাছে না এনে দিলে সে আত্মহত্যা করবে ।
এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করতে বিভিন্ন জন মারফত হুমকি ধামকিসহ গুলি করে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে, বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় দিন পাড় করছেন বলে অভিযোগে আহসান হাবীব জানান ।
অভিযুক্ত সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুর রহমান বাহারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,তাদের মধ্যে তালাক হওয়ার পরেই আমি আইনত উপায়ে বিবাহ করি, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয় ।