নওগাঁয় বদলগাছীতে নববধুকে ধর্ষনের ঘটনায় সেই সেনা সদস্য জেল-হাজতে
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি ইতিমুনি-
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের পার্শবর্তী বাড়ীর সুন্দরী নববধুকে ধর্ষনের মামলায় সোহেল রানা তুফান নামের সেই সেনা সদস্যকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছেন আদালত।
ধর্ষনের শিকার নববধু সুমাইয়া আক্তার মুক্তির বাবা মোঃ মুকুল মন্ডল বাদী হয়ে গত ১৪/১১/২১ ইং তারিখে বদলগাছী থানায় সেনা সদস্য সোহেল রানা তুফানকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা করেছিলেন।
সেই মামলায় গত ০২/০৩/২২ইং তারিখ বুধবার নওগাঁ নারী শিশু ট্রাইবুনাল-২তে জামিন চাইলে বিচারক হায়দার আলী খন্দকার তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য,
গত (১৩ নভেম্বর) ২০২১ ইং তারিখে বাড়ীতে কেহ নেই, নিশ্চিত জেনে ঘরে মধ্য ঢুকে টিভি দেখতে থাকা নববধুকে হিংস্র পশুর মত
ঝাঁপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে বলে নববধু, তার মা ও শাশুড়ী জানায়। স্বামী নাহিদ ঢাকায় চাকুরীরত থাকার কারণে সুমাইয়ার বাবাকে (শশুড়কে) ফোনে মামলা করার পরামর্শ দেন নাহিদ। সে মতাবেক মুকুল মন্ডল বাদী হয়ে পরের দিন, গত ১৪/১১/২১ ইং তারিখে বদলগাছী থানায় সেনা সদস্য সোহেল রানা তুফানকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা করেন। যার নং-৭/২৮৪, তাং১৪/১১২০২১ ইং বদলগাছী।
বিষয়টি আপোষ মিমাংসা জন্য ধর্ষনের শিকার নববধুর বাবা বাদী মোঃ মুকুল মন্ডলকে ৪লক্ষ টাকাও দেয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন নববধুর মা আকলিমা। এবং আপোষ-মিমাংসার জন্য ষ্ট্যাম্পে লিখিতও হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের দেখায়। কিন্তু বেঁকে বসেন নববধুর স্বামী নাহিদ হোসেন মিলন।
এ আপোষ বিষয়ে নববধুর স্বামী নাহিদ হোসেন মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে জানান, তার স্ত্রীকে ধর্ষন করেছে, তার পরিবার সহ সকলের মান-সম্মানের চরম ক্ষতি করেছে। টাকার বিনিময়ে তার শশুড় কিভাবে আপোষ করেন তিনি তার শশুড়ের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অপরাধীর উপযুক্ত আইনগত বিচার হওয়া উচিত এবং টাকার লোভী শশুড়েরও বিচার বিচার হওয়া উচিত।
মামলাটির তদন্ত অফিসার আবু তাহের জানান, তদন্ত প্রায় শেষের দিকে অল্পদিনের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।