আদালতে স্বীকারোক্তি–লাশের সাথে যৌনাচারকারী বিকৃতমনা ধর্ষেকর!
রায়হান হোসাইন, বিভাগীয় প্রধান, চট্টগ্রামঃ-
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরে মৃত নারীদের সঙ্গে যৌনাচার করার অভিযোগ গ্রেপ্তার পাহাদার সেলিম রিমান্ডের দুই দিনের মাথায় দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবাববন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সিএমপির পাঁচলাইশ থানার জিআরও (এসআই) শাহীন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আব্দুল হালিমের আদালত গত ১ মার্চ সেলিমকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন।
সিআইডি জানায়, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে ৩২ বছর বয়সী এক নারী ও ২৫ এপ্রিল চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর মরদেহ নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে। দুটাই আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা। দুজনকেই হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তারপর এসব মরদেহ রাতে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির পাশে অবস্থিত লাশ ঘরে রাখা হয়। পরের দিন সেখান থেকে প্রর্বত্তক মোড়স্থ মর্গে নিয়ে ময়না তদন্ত করা হয়। লাশগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদনে কোনো আঘাতের চিহ্ন কিংবা জোর জবরদস্তি কিংবা ধর্ষণের আলামত না মিললেও ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য সিআইডির ল্যাবরেটরিতে চিকিৎসকের পাঠানো দুই মরদেহে ‘হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব (এইচভিএস) ’পাওয়া যায় একই পুরুষের শুক্রাণুর উপস্থিতি।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নেমে মর্গের ডোম এবং লাশ ঘরের পাহারার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে চা পানের আড়ালে মুখের লালা থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে লাশ ঘরের পাহারাদার সেলিমের সাথে ওই দুই নারী ও কিশোরীর লাশে পাওয়া শুক্রাণুর মিল পাওয়া যায়। এরপরই সোমবার লাশ ঘরের পাহাদার সেলিমকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম এই বিকৃত যৌনাচারের কথা স্বীকারও করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ কমল ভৌমিক।