রাজাপুরে সংস্কারের অভাবে রাস্তার বেহাল দশা,পাঁচ গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি
মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছোট কৈবর্তখালি গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের ফকিরহাট থেকে নতুন হাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা। পিচঢালা রাস্তাটির সমস্ত জায়গা জুড়ে খানা-খন্দ ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পাঁচ গ্রামের মানুষ। ৬ বছরেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে স্থানীয় মো. আজিজুল হাওলাদার ও রুহুল আমিন হাওলাদারসহ একাধিক ভুক্তভোগী জানান, খানা-খন্দে ভরা সড়কটি মেরামত না করায় ছোট কৈবর্তখালি, চর গালুয়া, নিজ গালুয়া ও জীবনদাসকাঠিসহ পাঁচ গ্রামের প্রায় চার সহস্রাধিক লোক কয়েক বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ২০১৬ সালে একবার মেরামত করা হয়েছিল। তারপর থেকে মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার নুর মোহাম্মদ সিকদার, মো. জহিরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান মোল্লাসহ একাধিক লোক জানান, সড়কটি দিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা, ইজিবাইক ও অ্যাম্বুলেন্সসহ যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এতে পণ্য পরিবহনসহ জরুরি চিকিৎসা পেতে রোগীদের নিয়ে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এছাড়াও ৩৫ নং ছোট কৈবর্তখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনোয়ারা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুলতান আহম্মেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জীবনদাসকাঠি দাখিল মাদরাসা ও জীবনদাসকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ওই সড়কটি দিয়ে যাওয়া-আসা করছেন। রাস্তা ভাঙাচোরা হওয়ায় রিকশা ও ইজিবাইকে না চড়ে হেঁটে কষ্ট করে বিদ্যালয় যেতে হচ্ছে। কারণ যেকোনো সময় রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক উল্টে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তা ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন উল্টে প্রায় দিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা জানান, এ সড়কটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানেন না। ওই রাস্তাটি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে সড়কটি সংষ্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।