রাজিবপুরে জন্ম নিবন্ধনের অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
শিশুর জন্ম থেকে ৪৫দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুয়ী জন্ম নিবন্ধনের কোনো ফি নেয়া হয়না। তবে শিশুর ৫ বছর পর্যন্ত ও ওপরে সব বয়সীদের ৫০ টাকা ফি নেয়ার নিয়ম করে দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের এই নিয়ম মানা হচ্ছেনা কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার ১নং রাজিবপুর সদর ইউনিয়নে।
সেখানকার ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেই নতুন নিয়ম করেছেন।সে নিয়মে প্রতি জন্ম নিবন্ধনে ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন উদ্যোক্তা নিজেই, অভিযোগ ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়দের।
রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সরেজমিনে গিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। জন্ম নিবন্ধন করতে আসা ব্যক্তিদের নিকট নেয়া হচ্ছে দুই থেকে পাঁচশত টাকা এবং রসিদ দেয়া হচ্ছে ৫০ টাকার। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ৫০ টাকার রসিদ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ।
ভুক্তভোগীরা অতিরিক্ত টাকার নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন খাত দেখিয়ে মিলিয়ে দেন বাড়তি টাকার হিসেব।
অত্র ইউনিয়নের নুর হোসাইন বলেন, আমার তিনটা জন্মনিবন্ধন এর ৪৫০ টাকা নিয়েছে।
সোহেল রানা বলেন, আমি ছয়টা নিবন্ধন করতে গিয়েছিলাম প্রত্যেক নিবন্ধনের জন্য ১২০ টাকা করে মোট ৭২০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আরেক ভুক্তভোগী বলেছেন প্রথমত ব্যবহার খারাপ করে, ৫০ টাকার জায়গায় ২০০-৩৫০ টাকা নেয়। কিছু বললেই চুপ করে থাকে।
এমএমএস মনির বলেন, আমি আমার বাবা মার নিবন্ধন করতে দিয়েছিলাম, আমার কাছ থেকে প্রতি নিবন্ধন প্রতি ২০০টাকা করে মোট ৪০০ টাকা নেওয়া হয়।এটা দেখারও কেউ নেই বলে জানান স্থানীয়রা।
১নং রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারে অস্থায়ী উদ্যোক্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাকে কোন বেতন দেওয়া হয় না,তাই বেতন হিসেবে তাদের কাছে টাকা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত চক্রবর্তী বলেন,জন্ম নিবন্ধন এর কাজ মূলত সচিবের, সচিব যদি কম্পিউটার চালাতে না জানে তখন তারা উদ্যোক্তার তার কাছে আশ্রয় নেয়।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, সরকার নির্ধারিত ফি এর বাইরে কোনো অতিরিক্ত ফি যদি তারা আদায় করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।